★মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহু বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুনা বলেন, “যখন তোমার মন তোমার কোনো ভাইয়ের সমালোচনা কিংবা দোষ-ত্রুটির আলোচনা করতে চায়, তখন তুমি নিজের দোষ-ত্রুটি নিয়ে তুমি সমালোচনা করবে। তখন দেখবে, অন্যের দোষ-ত্রুটি তোমার চোখে পড়বে না। ব্যস, তোমার জবানের হিফাজত হয়ে গেল। তুমি তোমার মুখের ওপর লাগাম লাগিয়ে নিতে পারবে। ইহকালে এবং পরকালে তুমি খুব সুখে থাকতে পারবে।”
অন্যের সমালোচনা করা
★আওন ইবনু আবদুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয়, যারা নিজেদের দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে উদাসীন থাকে, সে অন্যের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। যে নিজের ব্যাপারে সতর্ক থাকে, সে কি করে অন্যের সমালোচনা করে? (অন্যের সমালোচনা করার আগে তো নিজের দোষ-ত্রুটি চোখের সামনে ধরা পড়ে যায়।)
নিজেকে ভালো মনে না করা
★আবু হাযেম রাহিমাহুল্লাহু বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে অন্য থেকে ভালো মনে করবে, সে অহংকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে এবং ইবলিশের সমতুল্য হবে। কারণ, ইবলিশকে সাইয়্যেদুনা আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে বলা হলে, সে বলেছিল, "আমি তার থেকে অনেক ভালো। আর সে এটা বলেছিল শুধু অহংকারের কারণেই"।
★আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মাঝে যাদের আচরণ উত্তম। যাদের সান্নিধ্য নিরাপদ এবং যারা মানুষকে ভালোবাসে ও মানুষ ও তাদেরকে আন্তরিকতার সঙ্গে ভালোবাসে। তারা আমার কাছে অনেক প্রিয় এবং উত্তম। চোগলখোর, বিবাদ সৃষ্টিকারী, অপবাদদাতাকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন”। [১০৩]
টীকাঃ
[১০৩] মুসনাদু আহমাদ-৪/২২৭
সংকলিতঃ সুরভিত জীবন(বই) - ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া রহঃ